ঈদের কারণে বাংলাদেশে পরিবেশ দিবস ৫ জুনের পরিবর্তে ২০ জুন | প্রতিপাদ্য - বায়ু দূষণ

আজ ৫ জুন, বিশ্ব পরিবেশ দিবস। এবার পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য বায়ুদূষণ

চীনে এবার বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রধান আয়োজন হবে। তবে আগ্রাসী উন্নয়ন নীতির কারণে চীনই সবচেয়ে বেশি বাতাসে বিষ ছড়াচ্ছে। বিষাক্ত বাতাসের কারণে বিশ্ব মিডিয়ায় বেইজিং-সাংহাই সংবাদের শিরোনাম হয়েছে বারবার। এবার সেই চীনই পরিবেশ দিবসের হোস্ট কান্ট্রি বা আয়োজক দেশ।

আর পরিবেশের প্রধান উপাদান বাতাস এবার পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য। জাতিসংঘের আয়োজনে প্রতিবছর ৫ জুন সারাবিশ্বে পরিবেশ দিবস পালিত হয়। এবার এ দিবসে বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সরকারি অফিস আদালত ছুটির কারণে দেশে পরিবেশ দিবস পালন হবে ২০ জুন। বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় ঢাকায় পরিবেশ দিবসের প্রধান আয়োজন করবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। 

জাতিসংঘ বলছে, পরিবেশ দিবসটি একান্ত গণমানুষের। এইদিন মানুষ পৃথিবীর জন্য শুভ কিছু করার প্রত্যয় ব্যক্ত করবে। এতে পৃথিবীর পরিবেশ সুন্দর হয়ে উঠবে। প্রতিবছর একটি দেশই পরিবেশ দিবসের আয়োজন করে, যা এবার করছে চীন। সঙ্গত কারণে চীনেই হবে এবার পরিবেশ দিবসের মূল আয়োজন। যেসব দেশ উন্নয়নের শুরুর দিকে পরিবেশকে বিষিয়ে তুলেছে চীন তাদের মধ্যে অন্যতম। তবে চীন সারাদেশে ব্যাপকভাবে বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষা করার চেষ্টা করছে। আগে বেইজিংয়ের বাতাসে যে দূষণ দেখা যেত এখন আর তা দেখা যায় না। এ কারণে আগ্রাসী অর্থনৈতিক উন্নয়নের বদলে টেকসই উন্নয়ন খুব জরুরি। 

বাংলাদেশেও আগ্রাসী উন্নয়ন নীতি গ্রহণ করা হয়েছে কিনা তা এখনই ভেবে দেখার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে পরিবেশ সংগঠনগুলো। বিশেষ করে দেশের দুটি অঞ্চল পটুয়াখালী এবং কক্সবাজারে নির্মাণ করা হচ্ছে কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র। এই দুই এলাকায় ২০৩০ সালের মধ্যে অন্তত ১০ হাজার মেগাওয়াট কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের উচিত আরো আরো গাছ রোপন করা। সরকারী উদ্যোগে সারাদেশে ব্যাপক গাছ রোপন করা। শুধু বায়ু নয়, মাটি ও পানি যাতে কম দূষিত হয় সে চেষ্টা আমাদের করতে হবে। 

জাতিসংঘের দূষণ না করার চুক্তিতে সই করে বাংলাদেশ।বিশ্বের অনেক দেশ এখন কয়লা থেকে সরে আসছে। বলা হচ্ছে, কয়লা হচ্ছে ডার্টি ফুয়েল। এই কয়লার কারণে সারাবিশ্বে দূষণের মাত্রা বাড়ছে। সময় দেওয়া হয়েছে, আগামী ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে সারাবিশ্ব কয়লা থেকে মুক্ত হয়ে যাবে। কিন্তু কয়লার ব্যাপারে আমাদের অবস্থান এখন নড়বড়ে। অনেকে মনে করেন, এখন কয়লা ছাড়া অন্য জ্বালানি দিয়েও বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। কাজেই বায়ু দূষণ কমাতে হলে কয়লা বর্জন করতেই হবে।

সোর্সঃ বাই/জাই