Environmental Science & Engineering (ESE) Subject Review
September 12, 2023
4
সাবজেক্ট রিভিউ:: Environmental Science & Engineering (ESE)
দিনে দিনে ব্যাপক হারে চাহিদা বাড়ছে পরিবেশবিদের।দেশীয় চাকুরী বাজার থেকে শুরু করে বিদেশে উচ্চ শিক্ষা ও চাকুরী বাজার পর্যন্ত পরিবেশ বিজ্ঞান/প্রযুক্তি/প্রকৌশলীদের (Environmental Science/Technology/Engineering) অপার সম্ভবনারদ্বার খুলে যাচ্ছে। সরকারী ও বেসরকারী উদ্যোগে নানান প্রকল্প ও গবেষণা খাদ সৃষ্টি হচ্ছে পরিবেশকে কেন্দ্র করে। কিন্তু অনেকে জানেই না উচ্চ শিক্ষায় পরিবেশ বিজ্ঞান বলে একটা বিভাগ আছে।
এই পোষ্ট এর মাধ্যমে একজন পরিবেশবিদ (Environmentalist) কি কি করতে পারে, একজন পরিবেশ বিজ্ঞান পড়ুয়া স্টুডেন্টকে কি কি বিষয়ে পড়াশুনা করেতে হয় ও এর জব সেক্টর নিয়ে আলোচনা করব। খুব বেশি দিন আগের কথা নয় ১৯৯৬ সালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম পরিবেশ বিজ্ঞান নামক Subject খোলা হয়। ২০১৬ সালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ESE বিভাগের যাত্রা শুরু হয় মাত্র ১৭ জন শিক্ষার্থী নিয়ে। বর্তমানে বিভাগটিতে ৭ম ব্যাচ চলছে। এরই মধ্যে বিভাগটি হাটি হাটি পা পা করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। একই সাথে গবেষণা, জার্নাল এবং স্কলারশিপের বিষয়গুলো সামনে রেখে তার কাঙ্খিত লক্ষে পৌছার দারপ্রান্তে। চীন এবং জাপান এরই মধ্যে এগিয়ে এসেছে গবেষনা এবং স্কলারশিপ বিষয়ে।
বর্তমানে দেশের অনেক পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে খুলেছে কিংবা খুলছে পরিবেশ বিজ্ঞান বিষয় টি। সুতরাং একটু ভাল ফলাফল করলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হবার সুযোগ পাওয়া অবাক কিছু নয়।
বিজ্ঞানের সকল শাখার সাথেই পরিবেশ বিজ্ঞান জড়িত। পদার্থ, রসায়ন, উদ্ভিদ/প্রাণী বিজ্ঞান কিংবা ভূগোল থেকে শুরু করে মেডিকেল সায়েন্স ও প্রকৌশল পর্যন্ত পরিবেশ বিজ্ঞানের অবাধ বিচরণ।
শুধু কি তাই? মহাবিশ্বের গ্রহ উপগ্রহ থেকে শুরু করে ভূকেন্দ্রের খনিজ পর্যন্ত একজন পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের স্টুডেন্টকে পড়তে হয়। পড়তে হয় Sustainable Energy নিয়ে। তাই অল্প সময়ে নিজেকে গবেষক কিংবা বিজ্ঞানী বলে পরিচয় দেওয়া টাও অবাক কিছু নয়।
পরিবেশবিদের প্রধান কাজ হইল পরিবেশের সবকিছুকে নিয়ন্ত্রণ করা, দূষণ রোধ করা,পরিবেশ কে দূষণের হাত থেকে রক্ষাকরা। প্রতিটা ইন্ডাস্ট্রিতে দূষিত ডাস্ট নির্গত হয়। আর এখানে পরিবেশবিদ দের ফলিত প্রযুক্তি ব্যাবহার করে দূষণের থেকে পরিবেশ কে রক্ষা করতে হয়। তাই তৈরি করতে হয় নানা ধরনের পরিবেশ বান্ধব মডেল।
- সৌর বিদ্যুৎ মডেল,
- পারমানবিক বিদ্যুৎ মডেল, কিংবা
- বায়োগ্যাস প্লান্ট মডেলিং,
- ওয়াটার ফিল্টার মডেল,
- রিসাইকেলিং মডেল ইত্যাদি নিয়ে কাজ করতে হয় একজন পরিবেশ প্রকৌশলী কে,
- আবহাওয়া তথ্য প্রযুক্তি,
- মহাকাশ নিয়ে গবেষণা,
- সমুদ্র গবেষনা,
- পরিবেশবান্ধব স্হাপত্য,
- নদী শাসন কিংবা,
- কৃষিক্ষেত্রে ও কাজের সুযোগ আছে একজন পরিবেশবিদ ও পরিবেশ প্রকৌশলীর।
গ্রীন হাউস তৈরি করতে, কিংবা সাউন্ড প্রুফ ঘর বানাতে ও নিরাপদ অক্সিজেন উৎপাদন প্রকল্পগুলিতে ও সুযোগ আছে একজন পরিবেশ প্রকৌশলীদের।
বর্তমানে বিদেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগের ভিত্তিতে তে তৃতীয় স্থানে আছে Environment Related Subject গুলি। Commonwealth অধিভূক্ত বেশিরভাগ নামিদামী বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে এই সাবজেক্টের Scholarship ও আছে অনেক । বুয়েট কিংবা বাকৃবিতে আছে স্নাতকত্তর পড়ার সুযোগ। জাতিসংঘ থেকে শুরু করে বিশ্বের অনেক মাল্টিন্যাশনাল এনজিও তে রয়েছে চাকুরির সুযোগ।
আসলে পড়াশুনা নিজের কাছে। যদি তুমি জানো, যদি তুমি পার, যদি তুমি বোঝো তবে বিশ্ববিদ্যালয় ও বড় ফ্যাক্ট হয় না।চাকরি ব্যাপারটা এরকম তুৃমি দিনশেষে যদি প্রমান করো তুমি যোগ্য চাকরি তোমাকে খোজে নিবে।
এবার বলি ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এর ব্যাপারে!
ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা - সিডর আর আয়লার মত ঘূর্ণিঝড়ে ধরাশায়ী প্রিয় মাতৃভূমিকে ভবিষ্যত আতংক থেকে বাঁচানোর জন্য পড়তে পার এই সাবজেক্ট। তাছাড়া এই বিষয়ে উচ্চশিক্ষার গুরুত্ব প্রতিনিয়ত বেড়ে চলছে। এ বিষয়ে পড়ালেখা শেষে তুমি সরকারের..
- পরিবেশ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়,
- ফায়ার সার্ভিস,
- এলজিইডি,
- ভূমি অধিদফতর,
- পানিসম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা ইত্যাদিতে রয়েছে চাকরির সুযোগ নিতে পার। পাশাপাশি সুযোগ থাকছে বিভিন্ন
- ডেভেলপমেন্ট
- অর্গানাইজেশন,
- এনজিও,
- ডোনার এজেন্সি,
- একাডেমিক ও রিসোর্স ইন্সটিটিউটসহ প্রভৃতি ক্ষেত্রে। উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে-
- আরডিএ
- সেভ দ্যা চিলড্রেন,
- কেয়ার বাংলাদেশ,
- অ্যাকশন এইড,
- ইউএনডিপি,
- বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা,
- বিশ্বব্যাংক ইত্যাদি। এছাড়াও
- ডিজাস্টার,
- সাইক্লোন শেল্টার ডিজাইন,
- রেসিস্টেন্ট বিল্ডিং তৈরি,
- দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় ত্রাণ ও সাহায্য ব্যবস্থাপনা,
- টিমওয়ার্ক বিল্ডিং সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্যারিয়ার গড়তে পার।
এছাড়াও রয়েছে কাজ করার আরো অনেক সুযোগ!